উপকূলীয় অঞ্চলে সতর্কতা জারি
মঙ্গলবার আঘাত হানতে পারে আমফান

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২০, ০২:২৬

ঘূর্ণিঝড় আমফান তার গতি ও দিক পরিবর্তন না করে তাহলে আগামী ১৯ মে (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে। এমনই আশংকা করছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকার এরই মধ্যে সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। ইতিমধ্যেই উপকূলীয় জেলাগুলোতে সতর্কতা জারি করেছে। জেলাগুলোর সাইক্লোন শেল্টার সমূহ প্রস্তুত রাখার জন্য জেলা প্রশাসকগণকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে রবিবার (১৭ মে) সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডা. এনামুর রহমান বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যালোচনা অনুযায়ী যদি ঘূর্ণিঝড় আমফান তার গতি ও দিক পরিবর্তন না করে তাহলে আগামী ১৯ মে দিবাগত রাতে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আশ্রয় কেন্দ্রসমূহে যেন মানুষজনকে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা যায় সে লক্ষ্যে এবার আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপকূলীয় জেলা সমূহের জেলা প্রশাসকগণকে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানকালে যাতে খাবারের অভাব না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার এবং গো-খাদ্যের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনে আরো বরাদ্দ দেয়া হবে। দুর্যোগকালীন বিদ্যুৎ না থাকলে তার বিকল্প ব্যবস্থা করে রাখার জন্য জেলা প্রশাসন সমূহকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতি ও করণীয় বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সচিব এবং উপকূলীয় জেলার ডিসিদের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেছেন।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ মোকাবিলার পূর্ব প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলায়। এর মধ্যে ভোলার মনপুরার চর থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে উপকূলীয় জেলাগুলোর ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শেষ করার জন্য প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি সম্পর্কে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী জানান, বরিশাল বিভাগে এবার আগের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি ৪৯৭২টি সাইক্লোন শেল্টার তৈরি আছে।